• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

বাড়ছে সরিষার আবাদ, লক্ষ্য ভোজ্যতেলের আমদানি কমানো; সিংগাইরে কৃষিমন্ত্রী

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৬ জানুয়ারি ২০২৩

এস.এম নুরুজ্জামান,মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় জমিতে তৈল ফসল সরিষার আবাদ করেছেন চাষিরা; এজন্য তারা সরকারের কাছ থেকে প্রণোদনা পেয়েছেন। 
ভোজ্যতেলের আমদানি কমানোর লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবেই দেশে সরিষার আবাদ বাড়ানো হচ্ছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী। 
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় আধুনিক জাতের সরিষা ও ধান উৎপাদনকারী কৃষকদের সাথে মতবিনিময় ও কৃষি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন, দেশের মোট ভোজ্যতেলের চাহিদার মাত্র ১০ শতাংশ এখন দেশে উৎপাদিত হয়। বাকি ৯০ শতাংশই আমদানি করা হয়। আমদানিতে ২ থেকে আড়াই বিলিয়ন ডলার খরচ হয়। 
এমন প্রেক্ষাপটে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আগামী তিন বছরে মোট চাহিদার ৫০ শতাংশ স্থানীয়ভাবে পূরণ করার লক্ষ্য নেওয়ার কথা জানান তিনি। 
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বেসমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ, উপজেলা চেয়ারম্যানের মোশফিকুর রহমান খান (হান্নান), জেলা আওয়ামীলীগের সা.সম্পাদনা আব্দুস সালাম, কৃষি উদ্যোক্তা আতিক হাসান।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, এ বছর উপজেলায় সরিষার চাষ হয়েছে ৯ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে। সরিষা আবাদী কৃষক সংখ্যা ৩২ হাজার ৩২০জন। মৌসুমের আগামী দিনগুলোতে হয়তো আরও বাড়বে।
তুলনামূলক কম আয়ুষ্কালের ধানকে বেছে নিয়ে দুই ফসলের মাঝে তৈল ফসলের চাষ করা হবে। এজন্য এক ফসলি জমি, দুই ফসলি জমি বেছে নেওয়া হচ্ছে। তৈল ফসল হিসেবে সরিষা, তিল, বাদাম, সয়াবিন ও সূর্যমুখীকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় সিংগাইরেও সরিষা চাষ বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছে কৃষি বিভাগ। 
উপজেলার গ্রামের মাঠে মাঠে এখন হলুদ-সবুজের আলপনা। কৃষক হলুদ সরিষা আর সবুজ ভুট্টার চাষ করেছেন পাশাপাশি। সরিষার ক্ষেতে বেড়েছে মৌমাছির আনাগোনা। 
কৃষি উদ্যোক্তা আতিক বলেন, “প্রতি মণ সরিষা তিন হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। প্রতি বিঘায় আট মণ পর্যন্ত সরিষা উৎপাদন হয়ে থাকে। তাই সরিষার চাষ বেশি করেছি।” 
বক্তারা বলেন, ভুট্ট ও সরিষা চাষ বাড়ায় মধু সংগ্রহের পরিমাণ বেড়েছে; যাতে লাভবান হচ্ছে মধু ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, “সরিষা চাষ গতবারের দ্বিগুণ হবে বলে আশা করছি। সরকার পরিকল্পনা নিয়েছে, আগামী তিন বছরের মধ্যে ভোজ্যতেলের আমদানি কমিয়ে আনবে। তেলের ক্ষেত্রে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার অংশ হিসেবেই সরিষার চাষ বাড়ানো হচ্ছে।  
“বিদেশ থেকে যেন ভোজ্যতেল আমদানি করতে না হয়। সে কারণে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সার, বীজ প্রণোদনা হিসেবে দিয়ে উৎসাহিত করা হয়েছে। কৃষকরাও কম খরচে অধিক লাভের সরিষা চাষে উৎসাহিত হচ্ছে।” 
বক্তারা আরও বলেন, “আমদানিকৃত ভোজ্যতেল স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকারক। সরিষার তেল স্বাস্থ্যসম্মত। আগে তো দেশের মানুষ সরিষার তেলই ব্যবহার করতো। তখন এত অসুখ হয়নি।” 
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিপন দেবনাথ, উপজেলা মহিলা ভাইস শারমিন আক্তার, পৌর মেয়র আবু নাঈম মো. বাশার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads